আপনার ফেসবুক মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপ এমনকি email ও টেলিগ্রামে অপরিচিত কোন সুন্দরীর প্রোফাইল পিকচার দেওয়া, মহিলার মেসেজ এসে যায়। প্রথমে আপনাকে hi বলে আপনার সাথে পরিচয় করার চেষ্টা করবে। আপনিও একজন সুন্দরী মহিলার মেসেজের রিপ্লাই দিতে দেরি করেন না। এটাই স্বাভাবিক রিপ্লাই দেন।
প্রথমে আপনার সাথে ইংলিশে সে কথা বলার চেষ্টা করবে। তারপর আপনি যেই ভাষায় তার সাথে বলতে চাইবেন! সে সেই ভাষাতেই উত্তর দেবে। কিছু সময় এই মেসেজ করতে করতে সে অনলাইনে ভিডিও কলিং এর মাধ্যমে সেক্স করতে চাইবে। আপনিও বেগ সামলাতে পারবেন না। আপনি তার সাথে ভিডিও কলে কথা বলবেন। এখানেই বিপত্তি! তার মানে তার ফাঁদে পড়ে গেলেন!
ঐ ভিডিও কলের সময় আপনাকে সে প্রভাবিত করবে, আপনিও তার মতো উলঙ্গ হোন! ভাববার অবকাশ নেই, আপনিও তাই করবেন। তার কারন আপনিও মজা পাচ্ছেন।
এরপর কিছু সময় পর সে চট করে তার ভিডিও কল বন্ধ করে, আপনাকে একটি স্ক্রিনশট মেসেজ পাঠাবে। সেই মেসেজে স্ক্রিনশট নেওয়া আপনার অসংলগ্ন অবস্থা দৃশ্য ধারণ থাকবে। এটা দেখে আপনি অবাক হয়ে যাবেন!
স্বাভাবিকভাবে আপনি ভয়ও পেয়ে যাবেন। আর সে ঐ সুজোগটা কাজে লাগাবে। আপনাকে এবার সে মেসেজ করবে! অ্যাডজাস্ট করার জন্যে। মানে আপনাকে একপ্রকার ধমক দেবে। সে আপনার ঐ ভিডিও ইউটিউব বা ফেসবুকে ছেড়ে ভাইরাল করে দেবে! এধরনের ধমক।
আত্মসম্মানের ভয়ে, আপনি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পারবেন না। তা ছাড়া ও আপনাকে ভয় দেখাবে! আপনার এই কৃতকর্ম আপনার আত্মীয় পরিজন সবাইকে বলে দেবে। আপনি ঘাবড়ে যাবেন ফলে তারই পাতা ফাঁদে পড়ে যাবেন। মানে এ্যাডযাষ্ট করবেন। প্রথমে সে ২৫ হাজার টাকা চাইবে, আপনি দরাদরি করে কিছু কম হলেও তা দিয়ে সমঝোতা করতে চাইবেন। কিন্তু কিন্তু করে রাজি হয়ে, আপনার দরাদরিতে কিছু টাকা কম নেবে সে।
কিন্তু বিপদ তখনও ছাড়েনি আপনাকে। আপনি টাকা দেওয়ার পরও! ও আবার চাইবে টাকা! এভাবে চাইতে চাইতে, যতো সময় চাওয়া সম্ভব! তত সময় আপনার কাছ থেকে টাকা চাইতে থাকবে। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যাবে। তবু চাইতে থাকবে। আর আপনি আত্মসম্মানের ভয়ে টাকা দিতে থাকবেন।
এই ধরনের ভিডিও কল যখন আপনার সাথে করা হয়, তখন লক্ষ্য করবেন ভিডিও কলে কোন ভয়েস হচ্ছে না। অর্থাৎ ঐ মহিলা কোন কথা বলছে না। আসলে ভিডিও কল অরজিনাল হচ্ছে না! অপর প্রান্ত থেকে অশ্লীল নগ্ন লাইভ ভিডিও চালিয়ে, আপনাকে ফাঁদে ফেলা হচ্ছে। সেই ভিডিও আগে থেকেই সুটিং করা হয়েছিল। আপনি ঐ ভিডিও টি ভালো করে দেখলে বুঝতে পারবেন।
যদিও ঐ সময় ভিডিওটি ভালো করে দেখার মতো মানসিক অবস্থা আপনার থাকবে না। ফলে আপনি সতর্ক থাকুন। অপরিচিত কারো সাথে কেন অবৈধ কিছু করতে যাবেন? প্রতারকদের এই ধরনের ফাঁদে পা দেবেন না।
ফেসবুকে হঠাৎ করে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এলে, আপনি উক্ত ফ্রেন্ডের প্রোফাইলের ভালো করে প্রোফাইল পিকচারটি দেখুন। তার পর রিসেন্ট আপডেট পোস্ট গুলো দেখুন। ঐ ফেসবুক প্রোফাইলটি বেশি দিনের নয়, এবং একাধিক পোস্ট হয়তো ওই প্রোফাইল থেকে করা হয় না। তার পর ফ্রেন্ড তালিকা দেখুন। দেখবেন বেশিরভাগ ফ্রেন্ড ছেলেদের কে করা হয়েছে। তাহলে আপনি দেরি না করে, প্রত্যেককে সতর্ক করুন। তাদের মেসেঞ্জারে ম্যাসেজ করার মাধ্যমে সতর্ক করুন।
✍️আইয়ুব খাঁন
১৫/১২/২২
No comments:
Post a Comment